মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ
বসুন্ধরা, ঢাকা।
রাজধানী ঢাকার অন্যতম অভিজাত এলাকা বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মনোরম পরিবেশে অবস্থিত মারকাযুল ফিকরিল ইসলামী বাংলাদেশ (ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার) জাতীয় পর্যায়ের গবেষণামূলক একটি উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা ও উন্নত সমাজসেবার ব্যতিক্রমধর্মী অনন্য প্রতিষ্ঠান।
১৫ই শাওয়াল ১৪১১ হিজরী মোতাবেক ৫ মে ১৯৯১ ইং সালে দেশের শীর্ষস্থানীয় উলামায়ে কেরাম ও বুজুর্গানে দ্বীনের পরামর্শে, মুহিউসসুন্নাহ হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক সাহেব হারদূয়ী (রহ.)-এর পৃষ্ঠপোষকতায় ফকীহুল মিল্লাত মুফতী আব্দুর রহমান সাহেব (রহ.) অত্র মারকাযটি প্রতিষ্ঠা করেন।
উপমহাদেশের জামি’আসমুহ (দেওবন্দী মাদরাসা) হতে দাওরায়ে হাদীসে উত্তীর্ণ মেধাবী ছাত্রদের উচ্চতর ইসলামী শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হয় প্রতিষ্ঠানটির পথচলা।
শিক্ষক মন্ডলী
দেশ-বিদেশের শীর্ষস্থানীয় জামিআ হতে সর্বোচ্চ ডিগ্রিপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ মুফতিয়ানে কেরাম ও মুহাদ্দেসীনে কেরাম দ্বারা অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
চলমান কার্যক্রম
- বিভিন্ন বিভাগে উচ্চতর ইসলামী শিক্ষাদান।
- সামাজিক ও পারিবারিক সমস্যার শরীয়াহভিত্তিক সমাধান ও ফাতাওয়া প্রদান।
- জটিলতর সমস্যার সমাধানকল্পে ফিকহী সেমিনারের আয়োজন।
- বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সমস্যার সমাধানকল্পে তাত্ত্বিক প্রবন্ধ রচনা ও আন্তর্জাতিক ইসলামী ফিকাহ ও আইন কনফারেন্সে অংশগ্রহণ।
- কুরআন শরীফের বিশুদ্ধ তিলাওয়াত প্রশিক্ষণ কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
- সমাজের সর্বস্তরে সুন্নাতে রাসূল (সা.)-এর ব্যাপক প্রচার-প্রসারে বহুমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন।
- মুসলিম সন্তানদের সুষ্ঠু শিক্ষা-দীক্ষার ব্যবস্থাকরণে দেশব্যাপী মক্তব-মাদরাসা প্রতিষ্ঠা।
- মাদরাসা শিক্ষকদের যুগোপযোগী প্রশিক্ষণ প্রদান।
- আধ্যাত্মিক জগতে রত আল্লাহর বান্দাদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান।
আল্লাহ তা’আলার মেহেরবানিতে ও ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দু’আ ও সার্বিক সহযোগিতায় সূচনালগ্ন থেকেই অত্র প্রতিষ্ঠান উপরোক্ত কার্যক্রম বাস্তবায়নে সফলতার সহিত এগিয়ে চলছে।
প্রতিষ্ঠানের প্রকল্পসমূহ
১. শিক্ষক ও স্টাফদের বেতন-ভাতা।
২. ছাত্রদের ভরণপোষণ (এ ফান্ডে যাকাত, ফিতরা, ফিদিয়া, কোরবানীর চামড়া ইত্যাদির টাকাও গ্রহণ করা হয়)
৩. গ্রন্থাগারের জন্য কিতাব ক্রয়।
৪. মেহমানখানা
৫. চিকিৎসা
৬. মাসিক আল-আবরার প্রকাশনা।
৭. মসজিদ
৮. নির্মাণ।
৯. ফাতাওয়া প্রকল্প।
১০. বিবিধ।
অতএব উপরোক্ত খাতসমূহে কোনো ধর্মপ্রাণ মুসলমান স্বতঃস্ফূর্ত অংশ নিতে ইচ্ছা পোষণ করলে নিম্নে প্রদত্ত ঠিকানায় যোগাযোগ করা যেতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহ পদ্ধতি
এই প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রম ধর্মপ্রাণ মুসলিম জনসাধারণের আন্তরিক দু’আ ও তাদের স্বেচ্ছাপ্রদত্ত সার্বিক সাহায্য ও সহযোগিতার মাধ্যমে পরিচালিত হয়। তবে তার পদ্ধতির ব্যাপারে নিম্নোক্ত দুজন বুজুর্গের স্মরণীয় বাণীই মূল পাথেয়।
হাকীমূল উম্মত হযরত মাও. আশরাফ আলী থানভী (রহ.)-এর বাণী :
- দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে কোনো কাজে অর্থের প্রয়োজন হলে মুসলিম সমাজকে সাধারণভাবে অবগত করাই যথেষ্ট, এতে কেউ স্বতঃস্ফূর্ত দান করলে সাদরে গ্রহণ করা হবে।
- দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের জন্য সাধারণভাবে চাঁদা আহ্বানে কোনো আপত্তি নেই। তবে যেকোনো চাপ সৃষ্টিমূলক চাঁদা সংগ্রহ থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকা উচিত।
অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠালগ্নে পৃষ্ঠপোষক হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক সাহেব হারদূয়ী (রহ.)-এর বাণী :
- এই ধরনের দ্বীনি প্রতিষ্ঠান সচরাচর মুসলিম সমাজের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয়ে থাকে। তবে এমনভাবে অর্থ চাওয়া উচিত নয়, যাতে মানুষ লজ্জা ও বিব্রতবোধ করে।
- প্রতিষ্ঠানের চলমান অবস্থা, লক্ষ্য, উদ্দেশ্য ও কার্যাদিসহ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সম্যক অবগত করে চাঁদা ও অনুদানের কথা এমনভাবে বলা যেতে পারে যে কারো হাতে এর চেয়ে অধিক গুরুত্বপূর্ণ কোনো দ্বীনি কর্মসূচি না থাকলে অত্র প্রতিষ্ঠানের সার্বিক সহযোগিতায় অবশ্যই এগিয়ে আসবেন।
পূর্বোল্লিখিত বাণীসমূহ অনুসরণ করে দেশে-বিদেশে চাঁদা সংগ্রহের জন্য অত্র প্রতিষ্ঠানের কোনো প্রতিনিধি প্রেরণ করা হয় না। কোথাও কোনো ধরনের সাহায্যের আবেদনও করা হয় না।
বিভাগ সমূহ
- ফতওয়া বিভাগ
- হাদিস বিভাগ
- ইসলামী অর্থনীতি বিভাগ
- তাফসির বিভাগ
- কিরাত বিভাগ
- কিতাব বিভাগ